‘হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা’ নামের বিশ্বখ্যাত গল্পের কথা কে না জানে? জার্মানির লোয়ার স্যাক্সনি রাজ্যের ‘হামেল্ন’ বা হ্যামিলন শহর এই কল্প কাহিনির অনেক চিহ্ন বহন করে৷ সেই রহস্যময় গল্প নিয়েই এই ছবিঘর৷
· ঐতিহাসিক পুরনো শহর
৩০টিরও বেশি ভাষায় হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা
গল্পটি অনুবাদ
করা হয়েছে৷
পায়ে হেঁটে
হ্যামিলন শহরটি
ঘুরে বেড়ালে
দেখা যাবে
এর সব
জায়গাতেই রয়েছে
বাঁশিওয়ালার গল্পের চিহ্ন৷ রয়েছে সংখ্য বিশিষ্ট ভবন এবং রেনেসাঁ
শৈলীর নমুনা৷
· বিয়ে বাড়ি
এই বাড়িটি
ঐতিহাসিক ‘বিয়ে বাড়ি’ নামে পরিচিত৷
যা ১৬১০
থেকে ১৬১৭
সাল পর্যন্ত
ইট আর
বালি দিয়ে
তৈরি করা
হয়েছে৷ হ্যামিলনবাসীদের
জন্য এই
বাড়িতে নানা
রকম উৎসবের
আয়োজন করা তো সে
সময়৷ তবে
এখন এখানে
বিয়ে রেজিস্ট্রি
করা হয়৷
প্রতিদিন সকাল
৯.৩০
মিনিটে বাঁশিওয়ালার
গানের সুরে
৩৭ বার
বাজানো হয়
ঘণ্টা৷
· পুতুল নাচ
পুতুল নাচের মাধ্যমে প্রতিদিন তিন বেলা বাড়ির ছাদের নীচের এই ঘরটিতে দেখানো হয় বাঁশিওয়ালার গল্প৷ ১২৮৪ সালে হ্যামিলন ইঁদুরের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে উঠেছিল৷ তাই যে ইঁদুর তাড়াতে পারবে তাকে মোটা অঙ্কের টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করা হয়৷ তখনই আবির্ভাব ঘটে অদ্ভুত এক বাঁশিওয়ালার৷ সত্যি সত্যিই যখন তিনি মধুর সুরে তাঁর বাঁশি বাজাতে থাকে, তখন শহরের সব ইঁদুর তাঁকে অনুসরণ করতে করতে নদীতে ডুবে মরে৷· বাঁশিওয়ালার গল্প
হ্যামিলনবাসী পুরস্কারের প্রতিশ্রুতি দিলেও কাজ শেষে বাঁশিওয়ালার প্রাপ্য টাকা দিতে অস্বীকার করে৷ তারপর আর কী? বাঁশিওয়ালা ফিরে এসে আবারো শুরু করেন বাঁশি বাজানো৷ এবার ইঁদুর নয়, হ্যামিলনের ছোট ছোট শিশুরা অনুসরণ করে তাঁকে৷ আর একটা সময় অদৃশ্য হয়ে যায়৷ হ্যামিলনবাসীদের জন্য বাঁশিওয়ার এ এক নিষ্ঠুর শাস্তি৷ জার্মান চিত্রকর গুস্তাভ স্পাঙেনব্যার্গ ১৮৯০ সালে শিশুদের চলে যাওয়ার দৃশ্যটা এভাবেই কাঠে খোদাই করেন৷· জাদুঘর
‘প্রতিশ্রুতি দিয়ে তা না রাখার
ফল হতে
পারে ভয়ংকর’
– সম্ভবত এটাই
ঐতিহাসিক এই
‘হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা’ গল্পটির মূল বিষয়৷
এই জাদুঘরটিতে
লেখা রয়েছে
হ্যামিলনের রহস্যময় বাঁশিওয়ালার কাহিনি সম্পর্কে
আরো নানা
কথা, তথ্য৷
· ইঁদুর ধরা বাঁশিওয়ালার বাড়ি
হ্যামিলন শহরের পুরনো এলাকার ভেতর দিয়ে যাওয়া যায় রেনেসাঁ শৈলীতে তৈরি করা বাঁশিওয়ালার বাড়িটিতে৷ বাড়ির বারান্দায় পাশে খোদাই করে লেখা রয়েছে, ‘‘রংচঙে পোশাক পরা এক বাঁশিওয়ালা ১৩০ জন শিশুকে নিয়ে পালিয়ে গিয়েছিল৷’’
·
ইঁদুরের স্মারক হ্যামিলন শহরের প্রতিটি রাস্তার মোড়েই
দেখা যায়
‘সুভেনিয়র’ বা স্মারকের দোকান৷ সেখানে
সব রকম
স্মারক, অর্থাৎ
কাপ, গ্লাস,
টি-শার্ট
– সব কিছুর
গায়েই রয়েছে
বাঁশিওয়ালা গল্পের কোনো না কোনো
চিহ্ন।
· ইঁদুরের স্মারক হ্যামিলন শহরের প্রতিটি রাস্তার মোড়েই দেখা যায় ‘সুভেনিয়র’ বা স্মারকের দোকান৷ সেখানে সব রকম স্মারক, অর্থাৎ কাপ, গ্লাস, টি-শার্ট – সব কিছুর গায়েই রয়েছে
বাঁশিওয়ালা গল্পের কোনো না কোনো
চিহ্ন।
· জীবন্ত বাঁশিওয়ালা
মে মাস থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত প্রতি রবিবার বাঁশিওয়ালার গল্পটিকে পথ নাটকের মাধ্যমে দেখানো হয়৷ সেখানে ৮০ জন প্রাপ্তবয়স্ক হ্যামিলনবাসী ও শিশুরা বিশেষ পোশাক পরে ৩০ মিনিট ধরে বাঁশিওয়ালার গল্পের নানা কিছু সুন্দরভাবে তুলে ধরেন৷ গড়ে ২,০০০ পর্যটক যা মন্ত্রমুগ্ধের মতো দেখেন৷(পোষ্টটি এডিট করতে চাইলে অনুগ্রহ করে কমেন্টে লিখুন।)